রাজকুমার ঘোষ-
সদ্য
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য জমায়েত
হয়েছিল আজ। এমনিতে এখন অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হচ্ছে, তাই কলেজের নোটিশ
বোর্ডে টাঙানো নতুন ফর্মাটের নোটিশ দেখার জন্য যা হয় আর কি, কলেজের অফিস
রুমে ছিলো অজয়। প্রিন্সিপাল এর নির্দেশে সে এদিন অফিসে বসে নতুন যারা এসেছে
তাদের গাইডলাইন দিচ্ছে। তাই আজ সারাদিন সে ভীষন ভাবে ব্যস্ত । সে একে একে
তাদের অনলাইনে পূর্ণ করা আবেদন পত্রগুলো দেখে নিয়ে সব কিছু কম্পিউটারে
নথিভুক্ত করে রেখেছে । অনেক মেয়েও এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বেশ সুন্দরী ।
নির্দিষ্টভাবে কাউকে পছন্দ করার ইচ্ছাও আর নেই, সকলকে দেখেই ওর ভালো লাগে ।
সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে চা নিয়ে বসে একটু ক্লান্তিতে চোখ দুটি
বুজে যায়, তারই মাঝে ভাইপো এসে ওর ঘুম ভাঙিয়ে দেয় । নিজের ল্যাপটপ চালিয়ে
ভাইপোকে গেম খেলতে দিয়ে আনমনে কলেজে আজকের কাজ নিয়ে ভাবতে থাকে, বিশেষ করে
মেয়েদের নাম নিয়ে, কেননা তার মধ্যেই একটা নাম “রানু মিত্র” ওর মনকে বেশ
নাড়া দিয়েছে । হ্যাঁ রানু মিত্র ... এই নামেই তো বিশেষ কেউ আজ থেকে বেশ
কয়েক বছর আগে কোন এক কলেজে ওর সাথে ভর্তির আবেদন পত্র নিয়ে গিয়েছিল । হঠাৎ
করে আজকের তারিখ ভাবতেই ও আরও উৎফুল্ল হয়ে পড়ল । এই দিনেই তো রানুর জন্মদিন
ছিল... মনে আছে ওর, সেদিন ফেরার পর ও রানুর বাড়িতে সন্ধ্যেবেলায় চলে যায় ।
রানুকে একটা বিশেষ ভালোলাগার গানের ক্যাসেট দিয়ে জন্মদিন পালন করেছিল ।
রানুর সেই বিগলিত দৃষ্টি আজও ওর স্মৃতিতে উদ্ভাসিত, একটা অক্সিজেনের জোগান
দেয়।
কিন্তু আজ তো রানু ওর পাশে নেই, তাতেও নো প্রবলেম... ল্যাপটপ আছে, তাতে সেই বিশেষ গানও আছে, ফেসবুক থেকে রানুর ছবি ডাউনলোডও করে নেওয়া যাবে । অজয় বাড়ির বাইরে গিয়ে একটা সুন্দর কেক ও বেশ কটা রঙীন মোমবাতি কিনে নিয়ে চলে এল । রাত্রি এগারোটায় বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে যেতে ও নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে মোমবাতিগুলো জ্বালিয়ে দেয় তারপর ল্যাপটপে ডাউনলোড করা রানুর ছবিটিকে ডেস্কটপে ফিট করে আর নিজে কেক কেটে রানুর উদ্দেশ্যে, “শুভ জন্মদিন রানু... তুমি না থাকলেও আমি আছি ... আমি আছি... খুব ভালো থাকো তুমি...” ল্যাপটপে চালানো গানটি এই মুহুর্তটাকে আরও সুন্দর করে তোলে, ... “দিল সে দিল তক বাত পৌছি, মিলতে মিলতে সনম...”
কিন্তু আজ তো রানু ওর পাশে নেই, তাতেও নো প্রবলেম... ল্যাপটপ আছে, তাতে সেই বিশেষ গানও আছে, ফেসবুক থেকে রানুর ছবি ডাউনলোডও করে নেওয়া যাবে । অজয় বাড়ির বাইরে গিয়ে একটা সুন্দর কেক ও বেশ কটা রঙীন মোমবাতি কিনে নিয়ে চলে এল । রাত্রি এগারোটায় বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে যেতে ও নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে মোমবাতিগুলো জ্বালিয়ে দেয় তারপর ল্যাপটপে ডাউনলোড করা রানুর ছবিটিকে ডেস্কটপে ফিট করে আর নিজে কেক কেটে রানুর উদ্দেশ্যে, “শুভ জন্মদিন রানু... তুমি না থাকলেও আমি আছি ... আমি আছি... খুব ভালো থাকো তুমি...” ল্যাপটপে চালানো গানটি এই মুহুর্তটাকে আরও সুন্দর করে তোলে, ... “দিল সে দিল তক বাত পৌছি, মিলতে মিলতে সনম...”
No comments:
Post a Comment