- রাজকুমার ঘোষ - ৩.৮.২০২২
"আমার...র আমি
সবচেয়ে দামী"
সত্যি কি দামী? কি জানি বুঝতে পারি না।
- কিরে রাজ? তোর নতুন লেখা দেখতে পেলাম না।
- এইতো লিখেছি। দেবো ফেসবুকে বা ব্লগ বা প্রতিলিপি অ্যাপসে।
তাহলে আমি লিখলাম। আমার লেখা কতটা গ্রহণযোগ্য পাঠকের কাছে সেটা আমার আমিত্ব দিয়ে বোঝানো সম্ভব না। সাথে পাঠক আমাকে দরজায় টোকা দেবে আমার আমিত্বকে জাগাবে। তবেই আমার আমিকে বিকশিত করতে পারব।
- কিরে বাবা, তুই সারাক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে লিখেই যাবি?
- হ্যাঁ মা। এই হয়ে গেছে। আমি এক্ষুণি খেয়ে নিচ্ছি।
আমার আমিত্ব চুপচাপ বসে ছিল কম্পিউটারের সামনে বসে। নতুন লেখায় মগ্ন ছিল। খাবার কথাই ভুলে গেছে। কিন্তু মমতাময়ী মা মনে করিয়ে দিল আমার আমি মায়ের আদরের সন্তান। তার মমতার আঁচলে নিজেকে গড়ে তুলেছি। সে ছিল বলেই আমি নিজেকে চিনতে পারছি বেশি করে। গর্ভধারিনী মা'র সন্তান একজন আমি। তাকে ছাড়া আমার আমিত্ব সম্পূর্ণ হয় না।
শৈশব থেকে কিশোর, যৌবন হয়ে বার্ধক্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আমি আমার আমিত্ব নিয়ে বড় বেশী চিন্তায়। আমার আমিত্ব কি অন্ধকারে না আলোকে ? এই নিয়েই চলতে থাকুক আমার ভাবনা আর ভাবনার বিকশিত হোক আমার লেখা। যদি পাঠকেরা সঙ্গ দেয়। তাহলে আমার আমিত্বকে তাদের পড়া ও বোঝার মাধ্যমে বুঝতে পারব।
পাঠক ও লেখক-কবি বন্ধুরা আপনাদের মতামতের ওপর নির্ভর করছে "আমার আমি" কে কতখানি স্রোতের অনুকুলে বইতে পারব। না প্রতিকুল না। কারণ আমি যেমন তোমাদের ভালোবাসি, আমার বিশ্বাস তোমরাও আমাকে ভালোবাসো...নিউটনের তৃতীয় সূত্রের অনুকরণে...
পরের পর্ব না হয় ভাবা যাবে... যাবার আগে আমার একটি পুরনো 'আমি' কে সকলের সাথে ভাগ করে নিলাম -
"আমি"
তখন,
আমি মুক্ত, আমি চঞ্চল…
খুঁজেছি মায়ের আঁচল।
ছিল না কোনো চাপ বা অনুতাপ …
থেকেছি বাবার ভয়ে চুপচাপ।
আমি দুরন্ত, আমি উন্মাদ…
তবুও দাদু-ঠাম্মার সোনার চাঁদ।
মাঝে,
আমি প্রতিবাদী, আমি অশান্ত…
বন্ধুরা বলেছে আমি নাকি ক্লান্ত।
ছিল বিবেক বোধ, খানিকটা মেধাবী…
শিক্ষকের চোখে হয়েছি বেহিসাবি।
আমি বাচাল, আমি সাধারণ …
তবুও তার হৃদয়ের অবলম্বন।
এখন,
আমি ধীর, আমি নিশ্চুপ…
ছাত্র-ছাত্রী'র মনে বিরূপ।
কখনো কবি, কখনো বা লেখক…
পাঠকের মনেতে হইনি সাবালক।
আমি মেজাজী, আমি দিই কষ্ট …
তবুও ছেলের চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ।
No comments:
Post a Comment