Monday, August 15, 2022

নাটকঃ স্বাধীনতার মানে..

আজ স্বাধীনতা দিবসের দিনে, আমার ছেলে ঋষভের পরিচালনায় ওদের স্কুল সেন্ট মেরি কনভেন্ট স্কুলে নাটকটি পরিবেশিত হয়েছে।

নাটকের নামঃ
স্বাধীনতার মানে
রাজকুমার ঘোষ

প্রথম দৃশ্য
[আলোর দূত চ্যানেলের দুই রিপোর্টার নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিচ্ছে আজকের স্বাধীনতা দিবসে তাদের চ্যানেলের লাইভ প্রোগ্রাম কিভাবে এগোবে। সাধারণ মানুষের মনে স্বাধীনতা দিবসে গুরুত্ব কতখানি।] 
রিপোর্টার-১ –
আমাদের চ্যানেল আলোর দূত এর তরফ থেকে সকল দর্শকবৃন্দকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের ভারতবর্ষ মানে বীর নেতাজির ভারতবর্ষ, দেশের প্রতি তাঁর আত্মত্যাগ এবং হাসিমুখে নিজের মাতৃভূমির জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া বীর বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে আজকের দিনে প্রণাম জানাই। এছাড়াও আরো অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর যোদ্ধাদের আত্ম বলিদানে ২০০ বছর ব্রিটিশদের হাতে বন্দী হয়ে থাকা মাতৃভূমিকে মুক্ত করেছেন৷ সেই মুক্তির আনন্দে আমরা দেশবাসীরা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। তাই আজকের দিনটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের দিন৷
রিপোর্টার-২ –
একদম ঠিক। ১৫ই আগস্ট এর দিনেই আমরা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান থেকে ইন্ডিয়ান হয়েছি। what is glorious day. আজকের দিনে আমরা চারপাশে দেশাত্মবোধক গান শুনতে পাচ্ছি, বিভিন্ন জায়গায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। গর্বের সাথে তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন হচ্ছে৷ এসব দেখে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।
রিপোর্টার-১ - 
ঠিক আছে এবার তাহলে চলে আসি আমাদের আজকের অনুষ্ঠানের মূল বিষয়, স্বাধীনতা মানে কি? আজ আমরা লাইভ টিভিতে দেখতে চাই যে আমাদের প্রিয় দেশবাসী তথা ভারতবাসী, তাদের কাছে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কতখানি। তাদের মুখেই জানতে চাই স্বাধীনতা মানে কি?
রিপোর্টার-২ –
আশা করি দর্শকবন্ধুরা আপনারা এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন এবং সঙ্গে থাকবেন চ্যানেল আলোর দূত এর সাথে।

দ্বিতীয় দৃশ্য
[তরুণ দুই রিপোর্টার যখন তাদের চ্যানেলে স্বাধীনতা দিবসে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন সেই নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠান করা নিয়ে উৎসাহিত ঠিক সেই সময়ে শহরের এক পরিবারে বাবা-ছেলের কথোপকথন। বেলা ১০টা পর্যন্ত ছেলে ঘুমিয়ে আছে। বাবা বিরক্ত সহকারে ছেলের কাছে এসেছে।] 
বাবা-
( নিজের সাথে কথা বলছে) কি হবে আজকালকার ছেলেদের, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেই না, রাত জেগে মোবাইলে কি যে করে কে জানে? ( ঘুমন্ত ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে) এই মুখপোড়া, আজকে আমাদের স্বাধীনতা দিবস। আজ অন্তত সকাল সকাল ওঠ। ছাদে যা, পতাকা উত্তোলন কর। পাশের বাড়ির নিলুকে দেখে শেখ। কিছু শেখ... (ছেলেকে আবার ধাক্কা দেয়)
[একরাশ বিরক্তি নিয়ে ছেলে তার বাবাকে] 
ছেলে-
ধুত্তর, নিকুচি করেছে। স্বাধীনতা দিবস তো আমার কি? আমাকে একটু স্বাধীনভাবে ঘুমোতে দাও প্লিজ। কানের সামনে বেকার ফ্যাচ ফ্যাচ করছ কেন?
বাবা-
কি বাঁদর রে! বাবার সাথে এইভাবে কেউ কথা বলে?
ছেলে-
না, বলবে না। ঘুমটা ভাঙিয়ে দিয়ে স্বাধীনতা ফুটাচ্ছে। যাও যাও বাজারে গিয়ে খাসির মাংস কিনে নিয়ে এসো, তাহলেই স্বাধীনতা বেশ জমে যাবে। হ্যাপি স্বাধীনতা দিবস! ইনজয় বাবা, ইনজয়!!
বাবা-
ছি ছি ছি... কুলাঙ্গার একটা! আমার কপালেই এরকম একটা জুটলো! হায় ভগবান।

তৃতীয় দৃশ্য
[রিপোর্টার দুজন প্রথমেই গেল শহরের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের মধ্যে। সেখানে দুই ছাত্রের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে গেল। তারা এগিয়ে গেল ছাত্রদের কাছে।] 
রিপোর্টার-১-
হ্যালো student's
ছাত্র-১- 
হ্যালো বলুন
রিপোর্টার-১-
তোমরা নিশ্চই জানো যে আজ স্বাধীনতা দিবস 
ছাত্র-১-
কি দিবস? আপনি কে? আর আপনাকে বলেই কি হবে?
রিপোর্টার-২-
আমরা আলোর দূত চ্যানেল থেকে কভার করতে এসেছি। আজ স্বাধীনতা দিবস নিয়ে তোমাদের থেকে মতামত জানতে চাই?
ছাত্র-২-
ও আচ্ছা! তাই নাকি? চ্যানেল থেকে এসেছেন! ওয়েট ওয়েট, একটু চুলটা ঠিক করে নিই। (একটু ঠিক করে নিল নিজের চুল এবং পরণের স্কুল ড্রেস ঠিক ঠাক করে নিল)  হুম বলুন..কি যেন সাধারণ দিবস জিজ্ঞাসা করছিলেন?
রিপোর্টার-১-
আরে স্বাধীনতা দিবস মানে ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে।
ছাত্র-১-
ওই একই হলো। যা স্বাধীনতা, তাই সাধারণ। এই দিনে কি আমরা নাচবো নাকি গাইবো!
রিপোর্টার-২-
তোমাদের নাচতেও হবে না আর গাইতেও হবে না। স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কি তোমাদের কাছে জানতে চাইছি।
ছাত্র-২-
স্বাধীনতা দিবস মানে ছুটি ছুটি আর ছুটি। মানে ফুল মস্তি। বন্ধুরা মিলে শুধু পার্টি হবে! 
রিপোর্টার-১-
একি! তোমরা নিশ্চই শুনেছো, ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে আমরা ভারতবাসী অত্যাচারী ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছি। কত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও তাদের প্রাণত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। সেই দিবস কি আমরা পালন করব না? 

ছাত্র-১-
তাতে আমাদের কি? ওই সময় লড়াই করার দরকার ছিল তাই তারা লড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল।
ছাত্র-২-
আপাতত আমরা আমাদের ছুটির সময় কাটাই নিজেদের মতো করে। ফুল মস্তি করে। এসব বেকার প্রশ্ন করে আমাদের বোর করবেন না। আজ শুধু ইনজয় আর জমিয়ে খানাপিনা।
রিপোর্টার-২-
ও আচ্ছা আচ্ছা, বুঝলাম।
[দুই রিপোর্টার ছাত্রদের কথা শুনে ভীষণ হতাশ। সেখান থেকে তারা চলে গেল।] 

চতুর্থ দৃশ্য
[ঐ স্কুলেই আজ একটি ক্যুইজ কন্টেস্ট ইভেন্ট হবে। রিপোর্টার দুজন  এসেছে ইভেন্টের স্থানে। পারলে আজ তারা স্বাধীনতা দিবসে স্কুলের এই ক্যুইজ কন্টেস্ট অনুষ্ঠান কভার করবে। ইভেন্টের আগে তারা উপস্থিত তিনজন প্রতিযোগী (যাদের মধে দু'জন ছাত্র ও একজন ছাত্রী)কে আজকের এই বিশেষ দিনের মাহাত্ম্য কি জানতে চায়...] 
রিপোর্টার-১-
আজ আলোক দূত চ্যানেলের তরফ থেকে আমরা এসেছি তোমাদের স্কুলের ক্যুইজ কন্টেস্ট অনুষ্ঠান কভার করতে। তবে তার আগে আমরা চ্যানেলের একটি লাইভ অনুষ্ঠানের জন্য তোমাদের কাছে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।
ছাত্র-১-
হ্যাঁ বলুন।
রিপোর্টার-১-
আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগষ্ট আমাদের ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে। তোমরা নিশ্চই জানো। তা, প্রিয় Student's, তোমাদের কাছে প্রশ্ন, স্বাধীনতা মানে কি?
ছাত্র-১-
ও আচ্ছা। আজকের দিনে ভারতবর্ষের সংবিধান অর্থাৎ Indian Constitution গঠন হয়েছিল। 
রিপোর্টার-২-
বলো কি? (আঁতকে ওঠে এবং লজ্জিত হয়ে) আচ্ছা বলো, ভারতের জাতীর জনকের নাম কি?
ছাত্রী-
জওহরলাল নেহরু। (জবাব শুনে দু'জন রিপোর্টার মাথায় হাত দিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে)
রিপোর্টার-১-
তাহলে মহাত্মা গান্ধী কে ছিলেন?
ছাত্র-২-
আরে ওইতো আমাদের টাকার নোটের ওপর যার ছবি আছে।
রিপোর্টার-২-
হ্যাঁ, ঠিকই। উনি ভারতবর্ষের জন্য কি ছিলেন, সেটা নিশ্চই জানো তো?
ছাত্রী- ওই তো, উনি টাকার মেসিন আবিস্কার করেছিলেন। সেইজন্যই তো নোটের ওপর ওনার ছবি।
রিপোর্টার-১-
ওকে, ওকে। বুঝে গিয়েছি, তোমরা কি পড়াশোনা করছো... (বিরক্ত প্রকাশ করে) সহজ সরল জ্ঞান তোমাদের একদমই নেই। ভীষণ লজ্জার। ছিঃ

ছাত্র-১-
ঠিক আছে। এবার এখান থেকে যান তো। বেশি জ্ঞান দেবেন না। নিজেদের কাজ করুন।
[ভীষণ হতাশ হয়ে দুই তরুন রিপোর্টার সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।] 

পঞ্চম দৃশ্য
[দুই রিপোর্টার স্কুল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। দেখে একজন কিশোর রাস্তায় কানে হেড ফোন দিয়ে নাচতে নাচতে যাচ্ছে। রিপোর্টার দু'জন সেই কিশোরটির দিকে এগিয়ে যায়।] 
রিপোর্টার-১-
ও ছেলে শুনছো...
কিশোর ছেলেটি –
কে বাবা তুমি? দেখতে পাচ্ছো না আমি গান শুনছি।
রিপোর্টার-১-
আমরা আলোক দূত চ্যানেল এর তরফ থেকে আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তোমাদের কাছে জানতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব তোমার কাছে কতটা? স্বাধীনতা মানে কি?
কিশোর ছেলেটি –
স্বাধীনতা দিবস মানে আজ হলি ডে। আমার কাছে রক এন্ড রোল এন্ড ডিসক উইথ মিউসিক... ইয়ে ইয়ে (নাচতে নাচতে)
রিপোর্টার-২-
একি ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। আজ সকল ভারতবাসীর কাছে একটি গর্বের দিন। জায়গায় জায়গায় ভারতের পতাকা উত্তোলন হচ্ছে। দেশাত্মবোধক গান হচ্ছে।
কিশোর ছেলেটি-
তো...! যারা করছে করছে, আমার কি? বেকার প্রশ্ন করে আমার ম্যুডটাই নষ্ট করে দিলেন। আমি আপাতত আপনাদের থেকে স্বাধীন হয়ে চাই। যান তো এখান থেকে... যত্তসব।
[এরপর রিপোর্টারকে একরকম ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়] 
রিপোর্টার-১ –
(রিপোর্টার-২ কে বলে) কেমন সব দেশবাসী আমরা। আমরা নিজেদের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কত উদাসীন। ভীষণ খারাপ লাগছে বন্ধু।
[এরপর একজন বয়স্ক ব্যক্তি, (যার একটি হাত নেই) সেখান দিয়ে হেঁটে যান। কিছু দূরেই এক হকার তার ঝোলার মধ্যে একটি কাগজের তিনরঙের পতাকা রাখতে যায় এবং সেটা রাস্তায় পড়ে যায়। বয়স্ক ব্যক্তিটি তৎক্ষনাৎ সেই পতাকাটি অন্য হাতে তুলে নিয়ে হকারের হাতে দিয়ে দেন।]  
বয়স্ক ব্যক্তি –
জয় হিন্দ। (স্যালুট করে)
হকার –
জয় হিন্দ! (স্যালুট করে)
বয়স্ক ব্যক্তি –
পরিস্থিতি যেমনই হোক, মা'কে সবসময় রক্ষা করবে।
[দুই রিপোর্টার ওই ব্যক্তিকে দেখে তার কাছে চলে আসে।]

রিপোর্টার-২-
আজ আমরা যেখানেই গিয়েছি। শুধুই হতাশ হয়েছি স্যার। আপনাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগল। আজ স্বাধীনতা দিবসের দিনে আপনাকে দেখে মনে ভীষণ শান্তি পেলাম।
রিপোর্টার-১-
স্যার আজ আমরা আলোক দূত চ্যানেল থেকে রাস্তায় বেরিয়েছি। সকল সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইছি, আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতার গুরুত্ব আপনার কাছে কতখানি? আপনার মতামত জানলে ভালো লাগবে।
বয়স্ক ব্যক্তি –
স্বাধীনতা মানে আমার মা'র মুক্তি, আমার মুক্তি, সমগ্র ভারতবাসীর মুক্তি। ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পরাক্রমশালী ইংরেজদের হাত থেকে আমার মাতৃভূমি তথা ভারতবর্ষ মুক্ত হয়। সেইদিনের কথা ভেবে আমার বুক গর্বে চওড়া হয়ে যায়। আজ স্বাধীনতা দিবসের দিনে যে সকল বীর সৈনিকরা মাতৃভূমির জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বা এখনো সীমান্তে দিয়ে চলেছেন তাদের প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করি। সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। জোর গলায় বলতে চাই জয় হিন্দ। বন্দেমাতরম।
রিপোর্টার-২-
স্যার আজ আমাদের ভীষণ প্রাপ্তি হল আপনাকে পেয়ে।
রিপোর্টার-১-
আপনার পরিচয় জানতে পারলে ভালো লাগবে স্যার। আর এই যে আপনি এই কাগজের পতাকাটি হাতে তুলে স্যালুট জানালেন, আপনার কাছে এই কাগজের পতাকাটির মূল্য কি?
বয়স্ক ব্যক্তি –
এই পতাকাটি মাথার ওপর ধরে রাখা এবং আমার মাতৃভূমিকে রক্ষা করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও কর্তব্য বলেই মনে করি। যতদিন বেঁচে থাকব তা রক্ষা করে যাব জীবনের মূল্য দিয়ে। আজ আমাদের দেশের হাল যেমনই হোক না কেন আমার এই জীবন মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য উজার করে দেব। তার কারণ আমি একজন যোদ্ধা। ইন্ডিয়ান আর্মির এক বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলাম। আমি গর্ব বোধ করি। ইন্ডিয়াম আর্মিতে থাকাকালীন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি। প্রতিবেশী দেশের শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করেছি। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেক শত্রু সৈনিককে হত্যা করেছি। আমার একটি হাত আমার মা'কে রক্ষা করতে গিয়ে খোয়া যায়। তাতেও আমি দমে যায়নি। আর্মি থেকে অবসর নিয়ে আমি আজও  আমার ভারতবর্ষকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে যাই। তাই পতাকাটিকে আমি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখতে পারি না। আমাদের তিরঙ্গাকে সবসময় উঁচুতে দেখতে চাই। আমি সকল ভারতবাসীকে বলতে চাই এই তিরঙ্গার মূল্য বোঝো। নিজের দেশ তথা নিজের মা'কে বোঝো। সবাই এক হয়ে বলো, জয় হিন্দ, জয় ভারত, বন্দেমাতরম।
[ওখানে উপস্থিত সকলে মিলে একযোগে বলল, জয় হিন্দ, জয় ভারত, বন্দেমাতরম।] 
রিপোর্টার-২-
আপনার কথা শুনে আজ স্বাধীনতার মূল্য আমরা বুঝতে পেরেছি, আমাদের মন ভরে গেল। (বাকি সকলের উদ্দেশ্যে) স্বাধীনতা দিবসের দিনে আসুন সকলে ব্রতী হই, আমরা সবাই আমাদের প্রাণ দিয়ে আমাদের দেশকে বাইরের শত্রু বা আভ্যন্তরীন শত্রুদের হাত থেকে যেন রক্ষা করতে পারি। আমাদের তিরঙ্গাকে সবসময় মাথার ওপর রাখতে পারি। তিরঙ্গার অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেব না। আমাদের দেশ তথা আমাদের মা'কে সবাই মিলে যেন আগলে রাখতে পারি। জয় হিন্দ, জয় ভারত, বন্দেমাতরম। 
[দূরে কোথাও লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে "বন্দেমাতরম" গানটি হচ্ছে। সবাই স্যালুট করছে আর পতাকাটি নিয়ে হকারটি একটি উঁচু জায়গায় কাঠের খুঁটিতে আটকে দিচ্ছে।]
-সমাপ্ত-

ছবি সৌজন্যেঃ ব্রজেশ নন্দী, কেজি শ্রেণী


No comments:

Post a Comment