রাজকুমার ঘোষ -
কোন এক ধনা মাস্টারের ইচ্ছায় সেই সময় ছেলেটির বাবা দুবার ভাবেন নি যে, তার ক্লাস ফাইভে পড়া আপাত নিরীহ ছেলেটির হোস্টেলে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি নেই ! ধনা মাস্টার বলেছেন তাই রাজী, কারণ হোস্টেলে গিয়ে ছেলেটি ঠিকভাবে গড়ে উঠবে, একজন মানুষের মতো মানুষ তৈরী হবে । বাবা কিন্তু বুঝল না ছেলেটি তার মা’কে ছেড়ে থাকবে কি ক রে ? মা কাঁদো কাঁদো মুখে তার স্বামীর সাথে ছেলেটিকে হোস্টেলে রেখে এল । ছেলেটি প্রচন্ড কষ্ট আর হতাশা নিয়ে একটা বিরাট অচেনা অজানা পরিবেশে চলে এল, সেখানে গিয়ে দেখল ওরই মতো আরো অনেক ছেলে আছে, আর আছে হিটলার রুপী ধনা মাস্টার, যার মধ্যে ছেলেটি তার স্বপ্নের দৈত্য-দানবদের ছায়া দেখতে পেতো । ছেলেটি বুঝে উঠতে পারে না সে কি করবে ?... তার চেনা জগৎ যে, তার মা… যাকে ছাড়া সে একটু ও ভাবতে পারে না । হোস্টেলের বদ্ধ জীবনে প্রথম দিন কেটে গেল… দেখতে দেখতে আরো এক মাস কেটে গেল । তখন মোবাইল দুরের কথা মা এর সাথে কথা বলার জন্য টেলিফোনও ছিল না । কিছু পোস্ট কার্ড এর ওপর ভরসা করে থাকতে হতো ।
সুখ তো নেই, খুব দুঃখের সাথে এক মাস কেটে যাওয়ার পর কোন একটা দিন ছেলেটি পুকুর পাড়ে আনমনা হয়ে বসে তার একমাত্র চেনা জগৎ, মা’এর কথা ভাবছে, দূরের মেন রোডে দেখল খুবই চেনা হাঁটার ছন্দে দু’জন আসছে । বুঝতে তার আর বাকি রইল না, সে তখনই পুকুর পাড় থেকে উঠে সরু রাস্তা ধরে এক দৌড়ে মেন রাস্তায় পৌছে গেল তার কাঙ্খিত চেনা জগৎ-এর কাছে । পৌছে গিয়ে সে তার মায়ের বুকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল, আর হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল ।
এই ঘটনার ২০ বৎসর কেটে গেছে… আজ সেই ছেলেটি বহু ঘাত-প্রতিঘাতে বেড়ে ওঠা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক । আজ মাতৃদিবসে সেই ছেলেটি ঐ ঘটনার কথা ভাবছে আর আজকেও সে হাউ হাউ করে কাঁদছে । কেন জানি না, কিন্তু সে কেঁদে যাচ্ছে, এই ছোট লেখাটা লিখতে লিখতে সে কেঁদেই যাচ্ছে । সে তার মা’কে কারণে অকারণে কত কিছু না বলেছে, মা তার কথায় খুব কেঁদেছে হয়তো । কিন্তু মা রাগ করেনি একটুও । হাসি মুখে সব কিছু ভুলে গিয়েছে । সেই ছেলেটি প্রতিদিন কাজ সেরে রাত করে বাড়ি আসে, কিন্তু খাবারের থালা নিয়ে আগলে বসে থাকে তার সেই ছোট বেলাকার একমাত্র চেনা জগৎ, তার মা । সেই ছেলেটি তার মাকে এখনও সেই চেনা জগৎই মনে করে । তার মাকে কখনই অচেনা জগৎ-এর সাথে মিলিয়ে ফেলে না । তার মাকে সে এখনও কাছ ছাড়া করতে চায় না ।
একটা ছোট লেখার মাধ্যমে মা-ছেলের যে অমোঘ টান, সেটা ব্যক্ত করা বেশ কষ্টকর । তবুও আজ মাতৃদিবসে আমার লেখার তরফ থেকে এটা একটা ছোট নিবেদন । আমার আজকের এই লেখাটা মান অনুসারে কত ভালো হলো বা কতটা লিখলে আরো ভালো হতে পারতো বা কতটা খারাপ হলো, সে ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই । প্রচন্ড জ্বর নিয়ে আজ এই লেখাটা লিখেছি । আজ মাতৃদিবসের দিন পাঠক বন্ধুদের ভালোবাসায় আমার এই প্রচেষ্টা । শেষে প্রত্যেককে বিশেষ করে মা’দেরকে জানাই শুভ মাতৃদিবস । আপনারা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আর সন্তানদের আগলে রাখুন ।
সুখ তো নেই, খুব দুঃখের সাথে এক মাস কেটে যাওয়ার পর কোন একটা দিন ছেলেটি পুকুর পাড়ে আনমনা হয়ে বসে তার একমাত্র চেনা জগৎ, মা’এর কথা ভাবছে, দূরের মেন রোডে দেখল খুবই চেনা হাঁটার ছন্দে দু’জন আসছে । বুঝতে তার আর বাকি রইল না, সে তখনই পুকুর পাড় থেকে উঠে সরু রাস্তা ধরে এক দৌড়ে মেন রাস্তায় পৌছে গেল তার কাঙ্খিত চেনা জগৎ-এর কাছে । পৌছে গিয়ে সে তার মায়ের বুকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল, আর হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল ।
এই ঘটনার ২০ বৎসর কেটে গেছে… আজ সেই ছেলেটি বহু ঘাত-প্রতিঘাতে বেড়ে ওঠা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক । আজ মাতৃদিবসে সেই ছেলেটি ঐ ঘটনার কথা ভাবছে আর আজকেও সে হাউ হাউ করে কাঁদছে । কেন জানি না, কিন্তু সে কেঁদে যাচ্ছে, এই ছোট লেখাটা লিখতে লিখতে সে কেঁদেই যাচ্ছে । সে তার মা’কে কারণে অকারণে কত কিছু না বলেছে, মা তার কথায় খুব কেঁদেছে হয়তো । কিন্তু মা রাগ করেনি একটুও । হাসি মুখে সব কিছু ভুলে গিয়েছে । সেই ছেলেটি প্রতিদিন কাজ সেরে রাত করে বাড়ি আসে, কিন্তু খাবারের থালা নিয়ে আগলে বসে থাকে তার সেই ছোট বেলাকার একমাত্র চেনা জগৎ, তার মা । সেই ছেলেটি তার মাকে এখনও সেই চেনা জগৎই মনে করে । তার মাকে কখনই অচেনা জগৎ-এর সাথে মিলিয়ে ফেলে না । তার মাকে সে এখনও কাছ ছাড়া করতে চায় না ।
একটা ছোট লেখার মাধ্যমে মা-ছেলের যে অমোঘ টান, সেটা ব্যক্ত করা বেশ কষ্টকর । তবুও আজ মাতৃদিবসে আমার লেখার তরফ থেকে এটা একটা ছোট নিবেদন । আমার আজকের এই লেখাটা মান অনুসারে কত ভালো হলো বা কতটা লিখলে আরো ভালো হতে পারতো বা কতটা খারাপ হলো, সে ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই । প্রচন্ড জ্বর নিয়ে আজ এই লেখাটা লিখেছি । আজ মাতৃদিবসের দিন পাঠক বন্ধুদের ভালোবাসায় আমার এই প্রচেষ্টা । শেষে প্রত্যেককে বিশেষ করে মা’দেরকে জানাই শুভ মাতৃদিবস । আপনারা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আর সন্তানদের আগলে রাখুন ।
প্রকাশিত - রামধনু সাহিত্য পত্রিকা, বাঁকুড়া, ২য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা, ২০১৩
Heart touching story.......love you sir
ReplyDeletethank you abhijit
Delete